The Significance of the Putin-Kim Summit.

M A Hossain, 

On September 13, North Korean leader Chairman Kim Jong-un embarked on his first foreign visit, following the global public health crisis. His arrival was marked by disembarkation from his bullet-proof train at the Vostochny Cosmodrome spaceport, located in the Amur Oblast in the Russian Far East. Kim met Russian leader Vladimir Putin at the launch vehicle assembly building and toured the spaceport facilities before engaging in an hours-long meeting in Kim’s Limousine, transported from Pyongyang. Mr. Putin spoke of the Soviet Union’s wartime support for North Korea and also covered economic cooperation, humanitarian concerns, and regional dynamics. Kim, reciprocally, pledged "full and unconditional support" for Moscow, making an apparent reference to the ongoing conflict in Ukraine. Kim's itinerary across Russia included visits to aviation factories in Komsomolsk-on-Amur, a marine biology laboratory in Vladivostok, and the Russian Pacific Fleet.  No doubt, the summit is seen as a sign of the "strategic importance" of bilateral relationships that have an anti-US, anti-Western alignment, thereby strengthening their alliances. 

The visit came at a time when the backdrop of a diplomatic standstill in North Korea's relations with the US and South Korea, followed an unsuccessful summit between Chairman Kim and President Donald Trump in Hanoi, Vietnam, in February 2019. Consequently, Kim's meeting with Putin was a strategic maneuver to reemerge North Korea on the world stage through successful diplomacy. Moscow and Pyongyang have historical relations, when Stalin supported Kim's grandfather at the start of the Korean War in 1950. North Korea was one of the five countries that opposed the UN resolution in early March 2022, condemning the Russian invasion, and was also one of the first three countries to recognize the independence of the two Russian-occupied states – Donetsk People’s Republic and Luhansk People's Republic in Eastern Ukraine.  

North Korea possibly has tens of millions of artillery shells and rockets based on Soviet designs that could potentially give a considerable boost to the Russian army.  In exchange, Kim seeks badly needed energy, food, and advanced weapon technology, including those related to Intercontinental ballistic missiles, nuclear-capable ballistic missiles, and a military reconnaissance satellite.  This exchange can complicate President Biden's security consideration within the European and Asian theater.

During Kim's visit, he praised "comrade Putin" and depicted Russia's actions in Ukraine as a "sacred fight to protect its sovereignty and security". He also added that the two countries would always be together in the fight against imperialism.  The meeting at the Cosmodrome is symbolic, especially as Pyongyang failed twice recently in its bid to put a military spy satellite into orbit. The weaponry of Soviet vintage, akin to those used in the Ukraine conflict, emerged as the most salient items North Korea can provide to Moscow.  According to a senior research fellow from the Royal United Services Institute in Britain, Russia has exhausted up to 11 million shells in Ukraine last year and is set to fire 7 million more this year. Russia's defense industries have been ramping up shell production this year, but it has not been able to keep up with demand stemming from the war. North Korea is believed to possess a substantial reserve of Soviet-designed artillery shells and rockets, which are used against Ukraine. Kim was also accompanied by Jo Chun Ryong, a ruling party official overseeing munitions policies. 

The most appealing ammunition to Russia is the BM-21 Grad, a 122 mm multiple rocket launcher system that is similar to the ones it uses. Russia is also interested in the Soviet-made 152 mm M- 1955 (D-20) towed gun-howitzers and 122 mm (D-30) howitzers used by North Korea. North Korea is also one of the few countries with ample stocks of Soviet-era tanks similar to those deployed by Russia in Ukraine, such as the T-54 and T-62, and it could supply spare parts.  Former US National Security Advisor, John Bolton told CNN “From North Korea's point of view, this gets them back into really significant contact with Russia for the first time since the collapse of the Soviet Union”.

The economic relations between North Korea and Russia have soared to new heights. Pyongyang will consider a Russian proposal to build a gas pipeline and power line running from North Korea to South Korea. Russia has already started a pilot project using and North Korean cargo terminal to Ship Russian coal to South Korea. Moscow has an ambition to connect its Trans-Siberian railway to the Trans-Korean railway linking Russia and the Korean Peninsula. North Korea has also hinted at an interest in sending construction workers to assist in the reconstruction of Russian-occupied areas. Russia also has an economic interest in North Korea, especially in the fields of energy, transportation, and trade. Moscow hopes to expand its trade with North Korea, which has been severely restricted by the United Nations Security Council sanctions. 

The significance of Kim's visit to Russia lies in its symbolic and strategic value rather than its substantive results. The summit exemplified Kim's diplomatic prowess amidst international pressure and isolation. For Putin, it reinforces his role and influence in regional and global affairs, especially within the context of escalating tensions with the US and its allies over issues, such as Ukraine, Syria, Venezuela, and West Africa. China would be more cautious regarding the development of these alliances. Kim's visit offers China some respite to support Putin and diverts attention from the US's intensified focus on Taiwan.  The cooperation between these parties would complicate the threat assessments for Mr. Biden, spanning homeland, Europe, and Asia.

Kim Jong-un's visit to Russia was a significant event that reflected the intricate and dynamic landscape on the Korean Peninsula and beyond. The summit highlights the potential and limitations of bilateral relations between North Korea and Russia, as well as their implications for regional and global security. The visit conveys a clear message to NATO and the US as efforts to boost the visibility of his partnership with traditional allies by breaking out of isolation and part of a united front against Washington.

M A Hossain, a political and defense analyst based in Bangladesh. 

Email: writetomahossain@gmail.com

This article published at:

1. The Geopolitics :16 September 23

2. The Catch Line, Pakistan : 16Sept23

3. The Asian Age, BD: 19Sept23

4. The North Lines, India :21Sept23

জি ২০ সম্মেলন : ভারতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

এম এ হোসাইন, 

আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র প্রধানরা বার্ষিক জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে একত্রিত হতে যাচ্ছেন। ভারত ১লা ডিসেম্বর ২০২২ এ এক  বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ইন্দোনেশিয়ায় পূর্ববর্তী বার্ষিক সম্মেলনে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ব নেতাদের কাছে প্রতিশ্রুতি  দিয়েছিলেন যে ভারত তার জি২০  সভাপতিত্বে সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাভিলাষী  এবং কর্মমুখী নীতির অনুসরণ করবে। এরই প্রেক্ষিতে, ভারত তার প্রাচীন  সংস্কৃতি নীতিতে নিহিত "বসুধৈব কুটুম্বকম" অর্থাৎ " এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ"  থিমটি বেছে নিয়েছে। এই থিমটি সামগ্রিক বিকাশ প্রক্রিয়ায় সকল জীবের একাত্মতার এবং আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করার অপরিহার্যতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এর স্থায়িত্ব বৃদ্ধির উপর জোর দেয়। 

জনাব মোদী এই শীর্ষ সম্মেলনকে মহামারী পরবর্তী বিশ্বের জন্য "জনগণের জি২০"  হিসাবে ঘোষণা করেছেন এবং তিনি খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক গুলো শক্তিশালী করন, অন্তর্ভুক্তি মূলক অর্থনীতি, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই প্রবৃদ্ধি,  ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো এবং জলবায়ু অর্থায়নের উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।  বৈশ্বিক রাজনীতি এবং গতিশীল অর্থনীতির পরিমণ্ডলে এই শীর্ষ সম্মেলনটি ভারতের জন্য বিশ্বমঞ্চে তার অবস্থান পুনঃমূল্যায়ন করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করেছে। যার মাধ্যমে ভারত তার প্রভাব, বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় এবং  আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর মতামত প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। যাই হোক, এই সম্মেলন ভারতের জন্য একটি বড় সুযোগ হওয়ার পাশাপাশি এটি অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জও  ছোড়ে  দিয়েছে।

১৯৯৯ সালে যখন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে তখনই গঠিত হয়েছিল গ্রুপ অব টুয়েন্টি বা জি২০। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি মূলত সদস্য রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের একটি সভা ছিল। সবার লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আর্থিক সংকট সমাধানের জন্য কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়ন করা। বর্তমানে এই ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আমলারা অংশ নিয়ে থাকেন। মূলত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজে পেতে জি-৭ দেশগুলোর অক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অসন্তোষ থেকে জি২০ গঠিত হয়েছে। জি২০ বিশ্বের প্রধান প্রধান উন্নত এবং উদীয়মান ১৯ টি দেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর পাশাপাশি, ৯ টি অতিথি দেশ এবং ১৪ টি বহুপাক্ষিক সংস্থা  অংশ গ্রহণ করে। এই শক্তিধর গোষ্ঠীটি বিশ্বের জনসংখ্যার ৬৫%, বিশ্ববাণিজ্যের ৭৯%এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৮৫% প্রতিনিধিত্ব করে।

নিরাপত্তা পরিষদে দুই বছরের মেয়াদ কাল, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সভাপতিত্ব, চলমান জি২০ এর সভাপতিত্ব, এমনকি একটি সফল চন্দ্র অবতরণের ফলে ভারতের কূটনীতি এবং ভাবমূর্তি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটা জোর দিয়ে বলা ন্যায় সঙ্গত হবে যে, ভারতের সভাপতিত্বে বছরব্যাপী জি২০ সম্মেলন যেভাবে আড়ম্বরপূর্ণ করে অনুষ্ঠিত হয়েছে তা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এরূপ দর্শনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে ভারত বিশ্বমঞ্চে একটি প্রভাবশালী জাতি ও "গণতন্ত্রের মাতা " উপাধি অর্জন করেছে।

ভারত এমন এক জটিল সন্ধিক্ষণে জি২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে যখন বিশ্ব সম্মিলিতভাবে মহামারী বিপর্যয় এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব থেকে পুনরুদ্ধার এর চেষ্টা করছে। দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই মোদির  প্রতিশ্রুত 'জনগণের জি২০' এর অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম সুস্পষ্ট ছিল। ভারতের সভাপতিত্বে বছরব্যাপী ১১ টি এনগেজমেন্ট গ্রুপ, শেরপা ট্র্যাকের অধীনে ১২ টি ওয়ার্কিং গ্রুপ ও ৮ টি ফিনান্স গ্রুপের মাধ্যমে মন্ত্রী, আমলা, এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সাথে ২০০ টি বৈঠকের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি, এই বৈঠকগুলো কেবল রাজধানীতে সীমাবদ্ধ না রেখে এটি দেশের ৫০ টি শহরে ও ৩২ টি বিভিন্ন কর্মধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  তরুণদেরকেও যুক্ত করেছে। ভারত কৌশলগতভাবে যোগ, আয়ুর্বেদ, বলিউড এবং ক্রিকেট ব্যবহার করে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জি২০ এর প্রতিনিধি ও অতিথিদের কে ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য,  বৈচিত্র্য, প্রাণবন্ততা এবং আতিথিয়তায়  মুগ্ধ করে নিজেকে বিশ্ব নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে তার 'নরম শক্তি' ব্যবহার করছে।

বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারতের নেতৃত্ব কে অবশ্যই তার অভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোও সাবধানতার সাথে পুনঃ বিবেচনা করতে হবে। ভারতের অভ্যন্তরীণভাবে, মণিপুরে অশান্তি এবং হরিয়ানা রাজ্যের নূহ এবং গুরুগ্রাম জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রশমনে কার্যকরী পদক্ষেপ ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।  উপরন্ত, ভারত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্যান্য জি২০  সদস্য এবং অংশীদারের স্বার্থ ও দৃষ্টিভঙ্গির ভারসাম্য রক্ষার মতো জটিল কাজের মুখোমুখি।

জি২০ সদস্য রাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন উন্নয়নমূলক অবস্থা, শাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, কর ব্যবস্থা, ডিজিটাল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়নের মত সঞ্চালনশীল বিষয়গুলিতে ঐক্যমত হওয়া ভারতের সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ। রাশিয়া -ইউক্রেন সংঘাত  আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্ব  অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি হিসাবে  দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, রাশিয়া সাথে ভারতের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বের কারণে ভারতের অবস্থান বেশ জটিল করে তুলেছে। বিশ্ব নেতারা এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

ভারত অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক দারিদ্র্য, এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে পড়ার আসন্ন প্রতিক্রিয়া স্বীকার করে। খাদ্য, জ্বালানি ও সার সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এবং তদসংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ গুলিকে মোকাবেলা করে ভারতকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ঘোষণা তৈরি করতে হবে। বহুপাক্ষীক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদান, বৈশ্বিক মূল্যস্ফিতি, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষুদ্র অর্থনীতি এর নীতিমালা প্রণয়ন করা ভারতের সামনে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এছাড়াও নয়া দিল্লির নীতিনির্ধারকগণ ভূ- রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে নিরপেক্ষতার মত কঠিন এবং জটিল পথ বেছে নিয়েছে যা এই দ্বিধাবিভক্ত বিশ্ব নেতাদের সামনে ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব তার বিশ্ব শক্তি মর্যাদা অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে। ভারত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে নিজেদের পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার জন্য কিছু ভিন্ন ধর্মী পরিকল্পনা চালু করেছে। যেমন- আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য প্রস্তাবনা করেছে।  ভারত তার সমৃদ্ধ প্রাচীন এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব ঐতিহ্যগুলোকে বাজার ভিত্তিক প্রচারণার ফলে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। সবুজ প্রবৃদ্ধি প্রচারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়ন, প্রযুক্তি এবং ন্যায় সঙ্গত জ্বালানি সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।  ভারত এই সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথের নেতৃত্ব অর্জনে এবং পক্ষে কথা বলার সুবর্ণ  সুযোগ পাবে। এই সমস্ত পদক্ষেপ গুলো ভারত কে একটি প্রভাবশালী জাতি হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে  আবির্ভূত হওয়ার সুযোগ করে দিবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই জি২০  সম্মেলনে ভারতের সকল পদক্ষেপ ঘনিষ্ঠ ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এই সম্মেলন ভারতের জন্য  ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নেতৃত্ব দেওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেই সাথে ভারতের আঞ্চলিক বাধ্যবাধকতা অবহেলা করলে এর গ্রহণযোগ্যতা বিপন্ন হতে পারে। আসন্ন জি২০ সম্মেলন দ্রুত পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভারতের অবস্থানের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা সরূপ।  ভারতকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার সভাপতিত্ব কেবল কার্যকরীই নয় আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে মোকাবেলা করে যুগান্তরকারীও বটে।

এম এ হোসাইন, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। 

এই আর্টিকেল টি প্রকাশিত হয়েছে :

১. দৈনিক বাংলা, ঢাকা :১১ সেপ্টেম্বর ২৩

২. বিডিরির্পোট২৪.কম,ঢাকা : ১০ সেপ্টেম্বর ২৩

India's G20 Presidency: Opportunities And Challenges.

M A Hossain, 

On September 9-10, the world's most influential heads of the state will meet in India for the annual G20 summit. India assumed the year-long presidency of G20 on 1st December 2022. During last meet in Bali, Prime Minister Narendra Modi pledged to world leaders that India would actively pursue inclusive, ambitious, and action-oriented policies throughout its G20 presidency. India has chosen the theme of "One Earth, One Family, One Future" enshrined in the ancient Sanskrit ethos of "Vasudhaiva Kutumbakam". This theme embodies a holistic approach to growth with sustainability in consideration of all life forms in the development process and aligning with the imperative of protecting our Planet. 

Mr. Modi has declared this summit as the 'People’s G20' for a post pandemic world and prioritized with a special focus on microeconomic implications of food and energy insecurity, climate change, strengthening Multilateral Development Banks(MDBs), financing inclusivity, equitable and sustainable growth, digital public infrastructure, and climate financing. In the dynamic realm of global politics and economics, this Summit offers a unique opportunity for India to redefine its position on the world stage exhibiting its potential, addressing pressing global issues, and foster International cooperation. However, despite being a big opportunity, it has also its formidable challenges.

The group of twenty (G20) was formed in 1999 during the global economic recession and was initially a meeting of the minister of finance and the governor of the central bank to discuss policies for resolving the global economic crises. Now, the summit includes the head of the state, finance minister, foreign minister, and top-level bureaucrats.  The G20 emerged from international discontent over the failure of the G7 countries to find solutions to the global economic crisis. The G20 comprises 19 countries and the EU, including major developed and emerging economics. Additionally, there are 9 guest countries and 14 multilateral organizations as participants of G20. This powerful group accounts for about 65% of the world's population, 79% of global trade and approximately 85% of the world economy.

India's diplomacy and image have soared to new heights with a two-year term on the Security Council, the presidency of the Shanghai Cooperation Organization, the ongoing G20 presidency and even a successful lunar landing. It is fair to assert that no previous G20 chair has yet presided over a spectacular chairmanship as India's year-long extravaganza, positioning India as a global player and even as "The Mother of Democracy". 

India's Presidency has come at a very crucial period when the world collectively is recovering from the atrocities of the pandemic and ongoing Russia-Ukraine conflict. The commitment of the 'People's G20' to inclusion is evident in how the G20 presidency is being executed in India. With eleven engagement groups, twelve working groups under the Sherpa track and eight under the finance track, the presidency is orchestrating 200 meetings of ministers, government officials and civil society members. It is also engaging young minds from various educational institutions across 32 different work streams in 50 cities of the country, instead of limiting all the events to the capital. India has strategically used yoga, Ayurveda, Bollywood, and cricket to promote is image and offered G20 delegates and guests a glimpse of India’s rich cultural heritage, its diversity, vibrancy, and hospitality, harnessing its 'soft power' for branding as a global leader.

India has assumed the presidency when the world is confronting with multifarious challenges. India's leadership has to reconsider its in boundary and trans boundary challenges. Its own internal turmoil, with Manipur burning and communal flare-up in Haryana's Nuh and Gurugram districts grabbing the headlines, require healing and harmony.  Furthermore, It is true that India faces the intricate task of balancing the interests and perspectives of diverse G20 members and partners on key issues. 

The G20 is a diverse and heterogeneous group of countries, with different levels of development, political systems, economic models, and cultural values. This makes it rendering consensus elusive on some contention issues such as climate change, trade, taxation, digital economy, health and development.  The Russia-Ukraine conflict looms as a serious threat to regional and global security, as well as to the global economy. But India has a historical friendship with Russia, as well as strategic partnership with the US and other countries, adds complexity.  The world leaders will be eager to know the India’s views on these pressing matters.

India acknowledged the impending consequences of economic decline, growing global poverty, and the delay in achieving Sustainable Development Goals. India must craft a balance declaration on addressing the root cause of the food, fuel and fertilizer crises, the Russia-Ukraine conflict and related sanctions. The trans boundary challenges of financing through MDBs, global inflation and macroeconomic implications of climate change constitute formidable hurdles in front of India's presidency. Policymakers in New Delhi have chosen to walk on a tightrope to be neutral on various geopolitical matters.

India's G20 presidency will pave the way for achieving its global power status. India has introduced specific schemes to leave its mark on the G20 Summit. It has also inserted the African Union(AU) membership proposal in upcoming summit. India is offering her rich ancient and sustainable traditions in favor of environment-friendly practices over market base consumerism embodied in the concept of LiFE ( Lifestyle for Environment). Promoting green growth entails climate finance, technology, and equitable energy transitions for developing countries. India’s G20 presidency will have a scope to rise the agenda as well as forerunner for the Global South onto the global stage. All these measures provide an opportunity to emerge India as an influential nation on global arena.

The international community will closely monitor India's actions during its G20 presidency. It has the potential to pave the way for rising economics to take the lead on international issues. But neglecting its regional obligations could jeopardize its credibility. The upcoming G20 summit will serve as a litmus test for India's position in a first-shifting International landscape. India needs to  make sure that its G20 presidency is not only effective but also revolutionary by navigating the challenges and opportunities that lie ahead.

M A Hossain, political and defense analyst based in Bangladesh. 

Email : writetomahossain@gmail.com

This article published at:

1. The New Nation, BD: 08Sep23

2. The Asian Age,BD: 08Sep23

3. The Daily Excelsior, India :08Sep23

4. The North lines, India :08Sep23